বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১০ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে ত্রাণ দিতে গিয়ে বিএনপি নেতা লাঞ্ছিত

রিপোটারের নাম / ২৭৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে ত্রাণ দিতে গিয়ে যুবদল নেতার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বিএনপির প্রবীন নেতা আবু তৈয়ব।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবু তৈয়ব বিএনপির প্রবীন নেতা এবং স্থানীয় দক্ষিন করইতলা আজিজুল উলুম নুরানি মাদরাসার সেক্রেটারি বলে জানা যায়। এছাড়া অভিযুক্ত মামুন দত্তপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত (২৭আগষ্ট) মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৮নং দত্তপাড়া ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ড করইতলা গ্রামে বন্যার্তদের মধ্যে আব্দুল খালেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রান বিতরন কার্যক্রমের দায়িত্বে ছিলেন আবু তৈয়ব। এ সময় স্থানীয় যুবদল নেতা মামুন এর নেতৃত্বে কয়েকজন জোর করে ত্রাণের প্যাকেট নিতে চাইলে মাদ্রাসা  কমিটির সেক্রেটারি ও স্থানীয়  বিএনপির প্রবীন নেতা আবু তৈয়ব বাঁধা  দিলে কোনো কথা ছাড়াই সবার সামনে তার উপরে হামলা করতে ছুটে যান মামুনসহ তার সহযোগিরা এবং ত্রাণ কার্যক্রমস্থল থেকে চলে যেতে বলেন। পরে এলাকার মানুষের চেষ্টায় পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক হলেও প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন ভুক্তভোগী আবু তৈয়ব। এ ঘটনায় এলাকায় এখনো উত্তোজনা বিরাজ করছে। এমন জঘন্যতম ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন এলাকাবাসী।
আবু তৈয়ব বলেন, বন্যার্তদের মাঝে আব্দুল খালেক ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরন কার্যক্রমের দাযিত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে দত্তপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিন করইতলা আজিজুল উলুম নুরানি মাদরাসায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মামুন জোর করে ত্রানের প্যাকেট নিতে চেয়েছিলো, আমি বাধা দেই। গত ২৭আগষ্ট দুপুরে আমি যখন মাদরাসা প্রবেশ করতে যাই তখন মামুন সহ কয়েকজন আমার পথ আটকায়। এসময় তারা আমাকে গালমন্দ করে বের হয়ে যেতে বলে। আব্দুল খালেক ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব আমাকে কেন দেওয়া হয়েছে এ নিয়ে তারা ক্ষুব্ধ। এক পর্যায়ে তারা আমাকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে লাঞ্ছিত করে। এখনও তারা সুযোগ পেলে আমার উপর হামলা চালাবে বলে হুমকি দেয়। আমি দলীয় নেতাদের বিষয়টি জানালে তারা সমাধানের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে মামুন হোসেন বলেন, উনি বিএনপি নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেন তাই তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে। উনাকে লাঞ্ছিতের বিষয়টি সঠিক নয়। এছাড়া আমি উনাকে হুমকিও দেই নি।
এবিষয়ে জানতে চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি বেলাল হোসেনকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায় নি।


আপনার মতামত লিখুন :
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ