রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৪ অপরাহ্ন

ভবানীগঞ্জে অস্ত্র নিয়ে ঘুরছে নৌকা প্রার্থীর ভাড়াটে লোকজন

রিপোটারের নাম / ৬৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল খালেক বাদলের ভাড়াটে লোকজন ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় তৈরি হাতিয়ার নিয়ে প্রকাশ্যেই ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের লোকজনকে ভয় দেখাচ্ছে।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ইউনিয়নের পিয়ারপুর বাজার নির্বাচনী কার্যালয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া (ঘোড়া) সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। এসময় ঘোড়া প্রতিকের কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, নৌকার পক্ষে ইউনিয়নের কোন কর্মী কাজ করছে না। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে সন্ত্রাসী স্টাইলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতলব ও নৌকার প্রার্থী আমার ইটভাটায় ঢুকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এতে আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। রামগতি থেকে নৌকার প্রার্থী বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে লালন করছেন। তারা আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

অভিযোগ করে মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া আরও বলেন, যুবলীগ নামধারী আবদুর রাজ্জাক রাসেল নৌকার প্রার্থীর ক্যাডার। সে মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত। ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজারে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) তাকে মারার একটি ভূয়া ঘটনায় আমি ও ৬ জন প্রার্থীসহ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে আমাকে হয়রানি করা হয়। নির্বাচনকে অন্যদিকে প্রভাবিত করতে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনে জামানত হারাতে হতে পারে এজন্য নৌকার প্রার্থী ভীত হয়ে পড়েছেন।

নৌকার প্রার্থী আবদুল খালেক বাদল বলেন, ভোটের মাঠে নৌকার জোয়ার উঠেছে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। মামুনের ইটভাটায় হামলার ঘটনা মিথ্যে। তবে আমি ও যুবলীগ নেতা রাসেলের ওপর প্রতিদ্বন্দ্বীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হামলা করেছে। ওই ঘটনায় আমরা মামলা দায়ের করেছি। তাদের অস্ত্রধারী ভাড়াটে লোকজন বিভিন্ন বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক বলেন, ইটভাটা ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ পাঠানো হয়েছে৷ বহিরাগতদের অবস্থানসহ কোন ঘটনা নিয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর ভবানীগঞ্জসহ সদর উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে ভোট হবে। এ ইউনিয়নে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ১১ জন প্রার্থী এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।


আপনার মতামত লিখুন :
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ