মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

মাছ চুরিতে বাধা দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম

রিপোটারের নাম / ২৫৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩

সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা টুমচরে রাতের অন্ধকারে মাছ চুরিতে বাধা দেয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী মৃত সফিক উল্যাহর ছেলে ফোরকানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার স্থানীয় তাজল ও তার ছেলে তারেকের বিরুদ্ধে। এসময় ফোরকানকে একা পেয়ে লাঠি, লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ম মারধর করে। পরে শোর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় তারা। তবে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার বেলাল ঘটানাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফোরকানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। গত রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে টুমচর ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ফোরকান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফোরকান ও অভিযুক্তদের সাথে দীর্ঘদিন জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় তাজল তার ছেলে তারেক ও রাসেল হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। ঘটনার দিন রাতে ফোরকানের পুকুর পাড়ের সঙ্গে তাজলদের একটি ডোবায় ইদুরের গর্ত দিয়ে পানি যাতায়াত করছিল। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রাতের বেলায় তাজল গংরা ফোরকান নাম ভাঙ্গিয়ে গালমন্দ করছে। এসময় ঘর থেকে ফোরকান বের হয়ে জানতে চাইলে তাজল তার ছেলে তারেক এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারত্বক জখম করে এবং দা দিয়ে কুপিয়ে মাথা রক্তাক্ত করে দেয়। এসময় লাথি ঘুষা কিল সহ হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলা টিপে ধরে তারা। পরবর্তীতে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী ফোরকান জানান, আমার পুকুরের মাছ চুরি করতে এসেছে। আমি টের পেয়ে লাইট নিয়ে বের না হতেই তারা আমার নাম ভাঙ্গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। পরে আমি জানতে চাইলে কোন কথা ছাড়াই আমাকে মারধর শুরু করে এবং দা দিয়ে কুপিয়ে দেয়। আমি বিচার চেয়ে পরিষদের চেয়াম্যানের নিকট গিয়েছি, স্থানীয় মেম্বারকে জানিয়েছি। তারা কাউকে মানে না। উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলা জড়ানোর পায়তারা করছে। আমি তাদের ভয়ে আতংকে আছি, তারা যেকোন সময় আমাকে হত্যাও করতে পারে। আমি আইনের আশ্রয় নিয়ে একটা সুষ্ঠু বিচার চাই।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার বেলাল জানান, ঘটানটি শুনে ঘটানাস্থলে গিয়ে ফোরকানকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসাপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। পরের দিন সকালে তাদেরকে ডেকে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা আরো ক্ষীপ্ত হয়। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানের আদালতেও উঠেছে। তবে তাজলরা কাউকে মানছেনা। বরং তারা উল্টো থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছে এবং আদালতেও নাকি মামলা করবে। তিনি বলেন আমি চেয়েছি বিষয়টি মিমাংসা করে দিবো। কিন্তু তাজলরা মানেনা। যেহেতু উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে, থানা যে সিদ্ধান্ত দেয় সকলে মেনে নেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তাজল সাংবাদিকদের জানান, ফোরকান মিথ্যা কথা বলেছে, সে ৭ই আগস্ট ৭/৮ জন লোক নিয়ে আমার উপর হামলা করে। এ বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। ফোরকানকে হামলার প্রশ্নে তাজল আরো জানায়, ফোরকান নিজে ব্লেড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।

এ ঘটনায় দু পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে বলে জানায় লক্ষ্মীপুর সদর থানার এ এস আই ইলিয়াস। ওসি স্যারের নির্দেশনায় বিষয়টি নিয়ে আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ