স্টাফ রিপোর্টারঃ লক্ষ্মীপুরে ৩ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে শাকিল হোসেন নামে এক গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের (এআই) বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইদুল বাকিন ভূঁইয়া নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন লোক এ ঘটনা ঘটায়। সোমবার (৭ মার্চ) বিকেলে ভুক্তভোগী পশু চিকিৎসক শাকিল এ অভিযোগ করেন।
এরআগে রোববার (৬ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ছবিলপুর গ্রামের মীরগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘরের ১০ টি জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। একটি প্রসূতি গরুকে মারধর করে হামলাকারীরা। এতে গরুটির বাচ্চা মারা যায়। ঘর থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ করে শাকিল, তার বাবা আনোয়ার হোসেন ও মা কুলসুম বেগম জানায়, এলাকার উন্নয়ন কাজের জন্য বাকিন ভূঁইয়া তাদের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু এতো টাকা দেওয়ার সামর্থ তাদের নেই। এতে গত একবছর ধরে বিভিন্নভাবে তাদেরকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে শাকিলকে মীরগঞ্জ বাজারে বাকিন ভূঁইয়াসহ তার লোকজন আটকে রাখে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যায় বাকিন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক এসে শাকিলদের বাড়ির জানালা ও ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় বাড়ির লোকজন হামলাকারী একজনকে আটকে রাখে। পরে রাত ১০ টার দিকে পুলিশ নিয়ে এসে বাকিন আটক ওই ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতিতেই তাদের একটি প্রসূতি গরুকে মারধর করা হয়। এতে গর্ভে থাকা গরুর বাচ্চাটি মারা যায়।
শাকিল হোসেন বলেন, চাঁদা না দেওয়ায় বাকিন ভূঁইয়া আমাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়। আমাকে মারার জন্য আটকে রাখে। পরে তারা আমার বাড়িতে ঢুকে আমিসহ আমার বাবা, মাকে মারধর করে। পরে আমি পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।
সাইদুল বাকিন ভূঁইয়া জানান, শাকিলের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর আদালতে গরু চুরির মামলা চলমান। তিনি ১৮ দিন কারাগারে ছিলেন। আদালতে যাওয়ার পথে শাকিল ও তার লোকজন ওই মামলার স্বাক্ষীদের আটকে রাখে। স্বাক্ষীদের ছাড়াতে গেলেই শাকিলসহ ৪-৫ জন আমার ওপর হামলা করে। আশপাশের লোকজন না বাঁচালে তারা আমাকে মেরে ফেলতো। এখন তারা আমার নামে মিথ্যা গুজব রটাচ্ছে।