মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২২ পূর্বাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে রহস্যজনক কারণে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন স্থগিত

রিপোটারের নাম / ৮১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ৪ মে, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পালের হাট পাবলিক হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো আজ বুধবার (৪ মে) সকাল ১০ টায়। এজন্য সভাও ডাকা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কয়েক মিনিটের মাথায় রহস্যজনক কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে সভাপতি প্রার্থী এবং অভিভাবক সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সদস্যদের অভিযোগ, একটি চক্র বিনাভোটে তাদের পছন্দের লোককে সভাপতি পদ পেয়ে দিতে চক্রান্ত শুরু করেছে। তাদের ইশারায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সভাপতি নির্বাচন স্থগিত করেন।

জানা গেছে, পালেরহাট পাবলিক হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু তালেবকে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ২৭ এপ্রিল সিলেকশনের মাধ্যমে চারজন অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হয়। তারা হলেন, কামরুজ্জামান চৌধুরী, মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, মো. হাফিজুর রহমান ও মো. হামিদ উদ্দিন দুলাল। সভাপতি নির্বাচনের জন্য বুধবার (৪ মে) সকাল ১০ টায় সভা আহ্বান করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বেলায়েত হোসেন খাঁন।

এ লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত অভিভাবক সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধিসহ অন্যরা উপস্থিত হন। কিন্তু সভা শুরুর আগেই সুনির্দিষ্ট কোন কারণ ছাড়াই প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে অভিভাবক সদস্য ও সভাপতি পদের প্রার্থীরা।

নব নির্বাচিত কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল বলেন, আমরা সভাপতি পদে ভোট দিতে সকালে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হই। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ভোট না নেওয়ার ঘোষণা দেন। বিষয়টি রহস্যজনক। নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে একটি মহল চক্রান্ত করছে। চক্রান্তকারীরা পছন্দের লোককে সভাপতি বানাতে তারা অজ্ঞাত অভিযোগ দিয়ে নির্বাচন বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করেছেন।

সভাপতি প্রার্থী ও বিএনপি নেতা ফরিদ উদ্দিন নির্বাচন বন্ধের পেছনে বর্তমান সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল করিম টিপুকে দায়ী করে বলেন, টিপু সভাপতি থাকাবস্থায় বিভিন্ন অনিয়ম করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাই অভিভাবকরা চাচ্ছে বিদ্যালয়ের কল্যাণে আমি সভাপতি প্রার্থী হই। এ জন্যই সভাপতি টিপু ভোট বন্ধের চক্রান্ত করেছে। তারা বিদ্যালয়কে একটি রাজনৈতিক কেন্দ্র বানাতে চাচ্ছে।

বর্তমান সভাপতি নাজমুল করিম টিপু অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আমি প্রথমে সভাপতি প্রার্থী হলেও বিগ্রেডিয়ার (অঃ) নিজাম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে তাকে সমর্থন দিয়েছি। তাই নির্বাচন বন্ধ রাখার ব্যাপারে আমার কোন হাত নেই। আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো মিথ্যা।

প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন খাঁন বলেন, আজকে সভাপতি নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার উপস্থিত থাকার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি সভাতে আসেন নি। তার নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। কি কারণে বন্ধ রাখতে বলেছে, তা আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে জানতে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেবের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে একটি অভিযোগ ছিলো। স্যারের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিই।

তবে কি অভিযোগ ছিলো, তা তিনি নিশ্চিত করেননি।


আপনার মতামত লিখুন :
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ