স্টাফ রিপোর্টার: লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ১১মে। ২০বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সম্মেলনে সভাপতি পদে সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়ার বিকল্প দেখছেন না অধিকাংশ নেতা-কর্মীরাই। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রায় হাফজন নেতা মাঠে নেমে প্রচার-প্রচারনা চালিয়েছেন। লাগিয়েছেন পোস্টার, ব্যানার ফেস্টুনও।
নেতা-কর্মীরা জানান, জাকির হোসেন আজাদ ভূঁইয়া পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। তার দাদা রেহান উদ্দিন ভূঁইয়া লক্ষ্মীপুরের জমিদার ছিলেন। ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি শুরু তার। বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও আজাদ ভূঁইয়া ১৯৮৪ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক ছিলেন। তার হাত ধরেই লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হয়ে উঠে। বিএনপি-জামায়াতের উর্বর ভূমি হিসেবে পরিচিত লক্ষ্মীপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠে আওয়ামী লীগ। এসব বিবেচনায় আজাদের নেতৃত্ব বঞ্চিত হতে চাননা লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগ। নেতা-কর্মীরা আজাদকে নিয়েই ঐক্যবদ্ধ।
লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আজাদ ভূঁইয়ার কোন বিকল্প নেই। তাই কেউ সভাপতি পদে প্রার্থীও হবেন না বলেই বিশ্বাস করি। সাধারণ সম্পাদক পদে তৃণমূল নেতাকর্মীরা চান সংগঠনিক ও ভালো কেউ পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসুক। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে পারবে এমন নেতৃত্ব চান তারা।
লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করছি। বিপদে আপদে নেতা-কর্মীদের পাশে থাকছি। আশা করছি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আমাকে মূল্যায়ন করবে। এছাড়া সংগঠনের দুঃসময়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে টিকিয়ে রেখেছি। এখন অনেক নেতা আছেন। তবে আমার মত দুঃসময়ের নেতা কম আছেন। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে বিশ্বাস করছি।
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সম্মেলনের প্রধান অতিথি থাকবেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারাও থাকবেন। শহরের লিল্লাহ জামে মসজিদ মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আওয়ামী লীগের সবগুলো ইউনিট কাজ করছে।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুরে পৌর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০০৪ সালে।