নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ ৮০ বছর পর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি নিজেদের দাবী করে দখল চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (৩০জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার (২৯জুলাই) সকাল ৭টার দিকে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড মোহাম্মদ আলী রোডের বিপরীতে কালাচাঁন বনিকের বাসার সামনের জমি কোন নোটিশ করা ছাড়াই জেলা পরিষদ লোকজন নিয়ে দীর্ঘ দিনের দখলীয় জমি জবরদখল করার চেষ্টা করে। এসময় তারা বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগিরা আরো বলেন, ১৯৪২ সালে নবদ্বীপ চন্দ্র নাথ নোয়াখালী ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ড থেকে ছাবকবলা মূলে দাগ নং ৪৩১৮,১৯,২০ খতিয়ান নং ২৫৮৭ নকশায় ঞ‘ চিহৃ প্লট এর ৭৬ শতাংশ ভুমি মালিক হন। নবদ্বীপের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ ছেলে কৃষ্ণ পদ নাথ ও স্ত্রী সুশীলা সুন্দরী ঐ জমির মালিক হয়ে ১৯৫৬ সালে মৃত হাজী আব্দুল গফুর. মহেন্দ্র পাল, কৃষ্ণ কামিনী নাথ, অঞ্জলী দেবী, কিরন বালা নাথ, লাল মোহন নাথ এর কাছে সবটুকু সম্পত্তি বিক্রি করে দেন। পর্যায়ক্রমে ক্রয় ও ওয়ারিশ সূত্রে এই জমির মালিক হন হাজী নুরুল ইসলাম, নাসির আহমেদ, স্বপন চন্দ্র নাথ, মৃত বিনোদ বিহারী পাল, হাসান মোল্লা, মৃত ভুলু মিয়া। এরা দীর্ঘদিন ভোগদখলে থেকে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছে এবং মালিকানাধীন রেকর্ডও রয়েছে। জেলা পরিষদ দীর্ঘ ৮০ বছর পর মালিকানাধীন রেকর্ড সংশোধন করে জেলা পরিষদেরা মালিকানায় নেওয়ার আবেদন করেন। গত ২২ জুন ২০২২ তারিখে জেলা রেকর্ড অফিসে এই আবেদনের শুনানী হয়। যার কোন আদেশ বা অনুলিপি এখনো প্রকাশ হয়নি। এমতাবস্থায় রেকর্ড সংশোধনের আবেদন করেই জেলা পরিষদ উক্তি জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাইতো ২৯ জুলাই শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা পরিষদ জমি দখল নিতে যায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ড সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ ধরনের ঘটনায় সঠিক বিচার চায় ভুক্তভোগী পরিবার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী স্বপন চন্দ্র নাথ, নাসির আহমেদ সহ অন্যান্য অংশীদাররা।