রাজীব হোসেন রাজু: স্বামী নেই। দুই সন্তানই সম্বল। স্বামী মারা যাওয়ার পর তার ভিটায় আর জায়গা হয় নি। চলে আসতে হয়েছে বাবার বাড়ি। দুই সন্তান সহ কোন ঠাই না হওয়ায় বাবার দেওয়া লাকড়ি ঘরে বসবাস করছেন রুমি আক্তার। রুমি’র বড় মেয়ে মাদরাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ও ছেলে ১ম শ্রেনীতে পড়ছে। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কায় বিধবা রুমি।
জানা যায়, রুমির স্বামী জাকির হোসেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৮মাস আগে মারা গেছে। রিক্সা চালক জাকিরের ৪-৫মাস চিকিৎসা খরচেই যতোটুকু সম্বল ছিলো তাও হারিয়েছে। রুমির স্বামীর বাড়ি রায়পুর উপজেলার ৪নং সোনাপুর ইউনিয়নে। সেখানে তেমন থাকার জায়গা না থাকায় দুই সন্তানকে নিয়ে আসতে হয়েছে বাবার বাড়ি। রুমির বাবার বাড়ি একই উপজেলার ৩নং চর মোহনা ইউনিয়নের চর মোহনা কাফলাতলী গ্রামের মোল্লা বাড়ি। অন্যের জমিতে বর্গাচাষী বাবার পক্ষে মেয়েকে কোন ঘর করে দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় পুরাতন লাকড়ি ঘরই এখন রুমির ভরসা। কিন্তু এতে দুর্ভোগ বাড়ছে। বৃষ্টির পানি ঘরে পড়ছে, শীতে করতে হয় কষ্ট। কোনভাবে কাগজ ও ভাঙ্গা টিনে দিয়ে ঘরের ছাল দেওয়া। মেয়েটাও বড় হচ্ছে। তাই তো দুশ্চিন্তায় দিনরাত পার করছেন রুমি।
রুমি আক্তার বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে অনেক অসহায় হয়ে পড়েছি। মেয়েটা বড় হচ্ছে। তাকে নিয়েও চিন্তিত। মাদরাসার কর্তৃপক্ষের দয়া হওয়ায় বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তারপরও তো খরচের অভাবে নেই। এদিকে একটি ঝুপড়ি ঘরে কোন ভাবে ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করছি। আমার বাবা কৃষক। তিনি কোন ভাবে আমাদের চালাচ্ছেন। কিন্তু বাবা তো সারাজীবন থাকবেন না। আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।
বাবুরহাট ব্লাড ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জালাল উদ্দিন রানা বলেন, এ অসহায় পরিবারটির কথা আমরা শুনার পর সরেজমিনে গিয়ে অবাক হয়েছি। তারা কোন ভাবে একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছে। যা আগে লাকড়ি ঘর ছিলো। আমরা এ পরিবারকে একটি ঘর করে দিতে চাই। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।