স্টাফ রিপোর্টার: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজারের পশ্চিম লক্ষ্মীপুরে চলছে মামা ভাগিনার রাজত্ব। অন্যের জমি দখল করে করেছেন ঘর বাড়ি। চুন থেকে পান খসলেই তাদের হামলার শিকার হন এলাকাবাসী। জমির প্রকৃত মালিকের নিয়োগকৃত তত্ত্বাবধায়কের উপরও করেছেন হামলা। জোর করে ভোগ করতে চান মামা আবদুল মান্নান ও ভাগিনা পারভেজ আলম।
জানা যায়, দালাল বাজারের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের অলি মেস্তুরি বাড়ি ও তার আশে পাশে প্রায় ৭২ শতাংশ জমির মালিক খায়রুল আলম টিটু গংরা। তারা এলাকায় না থাকায় বিভিন্ন সময় একেক জন দেখাশোনা করতেন। এর আগে এ জমি মোঃ হারুন, বাদশা মিয়া, চেতারা বেগম ও সর্বশেষ তিন বছর আগে দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন একই বাড়ির মৃত আবদুল হাসেমের ছেলে আবদুল মান্নান। আবদুল মান্নানকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে সে নিজের মতো করে ভোগ দখল করে আসছে। ভাগিনা পারভেজ আলমকে নিয়ে টিটু গংদের জমি দখল করে ঘর নির্মানেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে ঐ সব জমি দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একই বাড়ির মৃত ফজলুল করিমের ছেলে প্রবাসে ফেরত জাহাঙ্গীর আলম বিপুকে। গত তিন মাস আগে জাহাঙ্গীর আলম বিপু তার দায়িত্ব বুঝে নেন এবং টিটুদের পারিবারিক কবরস্থানের উন্নয়ন কাজ শুরু করেন। এছাড়া টিটুর নির্দেশে বাগানের একটি গাছও বিক্রি করেছেন বিপু। বিপুকে দায়িত্ব দেওয়ায় খুশি হতে পারেন নি আব্দুল মান্নান। তাই তো বিপু গাছ বিক্রি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন মান্নান। তিনি বিপুকে নিষেধ করেন গাছ বিক্রি না করতে। বিপু তার কথা না শোনায় গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) রাত ১১টার দিকে ভাগিনা পারভেজ আলমকে নিয়ে আবদুল মান্নান বিপুর উপর হামলা চালায়। এসময় তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এছাড়া বিপুর স্ত্রী নাজমা আক্তার শোর চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে তার উপরও চওড়া হয়। তাদের হামলায় নাজমা আক্তারের ডান হাতে মারাত্বক জখম হয়। পরে উভয়কে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম বিপু অভিযোগ করেন, খায়রুল আলম টিটু গংরা আমাকে এ জমিগুলো দেখা শোনার দায়িত্ব দিয়েছে। আব্দুল মান্নানের কোন কথা থাকলে তাদের সাথে বলবে। কিন্তু তা না করে আমার সাথে ঝামেলা করছে। আমার উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।
খায়রুল আলম টিটু বলেন, আমরা বাড়িতে থাকি না। তাই জাহাঙ্গীর আলম বিপুকে দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছে। তিন বছর আগে আবদুল মান্নান দায়িত্বে ছিলো। সে দায়িত্বে থাকাকালিন আমাদের বিভিন্ন জমি দখল করে নেয়। তা উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে বিপুকে একটি গাছ বিক্রি করতে বলি। বিপু গাছ বিক্রি করায় আবদুল মান্নান তার ভাগিনা সহ বিপু ও তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবো।
অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল মান্নান বলেন, বিপু আমাদের জমির গাছ বিক্রি করেছে। তাই তাকে নিষেধ করেছি। তার উপর হামলার ঘটনা মিথ্যা।
সদর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক আবদুল মতিন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।