নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নে স্কুল ছাত্রী আনিকা সুলতানা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করায় এর সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আনিকার সহপাঠিরা বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করেন। আনিকা দক্ষিণ মাগুরি গ্রামের প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও স্থানীয় গোপালপুর দ্বারিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। একই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গতকাল বুধবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনিকার মা জোৎ¯œা বেগমও মৃত্যুবরণ করেন।
মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। যারা এর সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। না হয় অপরাধীরা সুযোগ পাবে। আনিকা ও তার মায়ের হত্যাকারীরা যাতে ছাড় না পায়। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলবে।
মানববন্ধনের বক্তব্য প্রদান করেন গোপালপুর দ্বারিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসেন আহমদ, সিনিয়র শিক্ষক আবদুর রহমান ফিরোজ, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবদুল্ল্যাহ আল মামুন, আনিকার বাবা আনোয়ার হোসেন, স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ, শাহাদাত হোসেন মানিক, গিয়াস উদ্দিন মঞ্জু, ফারভেজ মোশাররফ, ছাত্রলীগ নেতা কাজী মোঃ হিরন সহ শিক্ষার্থী চৈতি রানী দাস, ফারভীন আক্তার মিনু, শামছুল আরেফিন মুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ঘরের ভিতর ঘুমিয়ে থাকা আনোয়ার হোসেনের বিবাহিত মেয়ে ও স্থানীয় গোপালপুর দ্বারিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী অন্তঃস্বত্বা আনিকা সুলতানা (১৭)আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই চাই হয়ে যায়।
অগ্নীদগ্ধ অবস্থায় আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী জোৎসনা বেগম (৪০) ও ছোট ছেলে রুপন(৫)কে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করার পর চিকিৎসকরা তাদেরকে আশংকা জনক অবস্থায় ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ হসপিটাল প্রেরণ করেন। সেখানেই বুধবার বিকালে জোৎ¯œা বেগম মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের ভাই বাচ্ছু অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে অনিকা সুলতানার স্বামী পার্শ্ববর্তী গ্রামের আব্দুস সহিদের পুত্র ও হানিফ মিয়াজীর হাটের মুদী ব্যবসায়ি রতন ও তার বন্ধু রাজারাম ঘোষ গ্রামের কামাল হোসেনের পুত্র শুভকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।